• ২০২৪ মে ০৯, বৃহস্পতিবার, ১৪৩১ বৈশাখ ২৬
  • সর্বশেষ আপডেট : ০৭:০৫ অপরাহ্ন
English
পরিচালনাপর্ষদ
আমাদের সাথে থাকুন আপনি ও ... www.timebanglanews.com

৫ বছরের শিশুকে হত্যার পর ধর্ষণ।

  • প্রকাশিত ০৭:০৫ অপরাহ্ন বৃহস্পতিবার, মে ০৯, ২০২৪
৫ বছরের শিশুকে হত্যার পর ধর্ষণ।
সংগৃহীত
নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় ৫ বছর বয়সী আপন চাচাতো বোন আছমা আক্তারকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে হত্যার পর ধর্ষণ করেছে আপন চাচাতো ভাই। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আসামি মো. শাহাদাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে চাটখিল থানার পুলিশ। গ্রেপ্তার মো. শাহাদাত হোসেন উপজেলার ৪নং বদলকোট ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেঘা গ্রামের মৃধা বাড়ির মো. বাবুলের ছেলে।

রোববার (৩ এপ্রিল) সকালে নিহত শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এর আগে, গতকাল শনিবার ২ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে ঘটনার ১০দিন পর উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেঘা গ্রামের মৃধা বাড়ির একটি শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংক থেকে নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে নিজ বসত বাড়ির সামনে থেকে আছমা আক্তার নিখোঁজ হয়। এরপর শনিবার ২ এপ্রিল রাত ১০টা পর্যন্ত নিখোঁজ ছিল। সে উপজেলার ৪নং বদলকোট ইউনিয়নের মেঘা গ্রামের মৃধা বাড়ির মো. শাহাজাহানের মেয়ে। এ ঘটনায় তার বাবা গত ২৫ মার্চ চাটখিল থানার একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

জিডিতে বলা হয়েছে, আছমা সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে বসত বাড়ি থেকে বাড়ির সামনে যায়। পরবর্তীতে তাকে বসত বাড়ির সামনে দেখতে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা বাড়ির আশে পাশে চারদিকে ও নিকট আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুজি করে। খোঁজ না পেয়ে একপর্যায়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই জিডির সূত্র ধরে তদন্ত নামে পুলিশ। এক পর্যায়ে শিশু নিখোঁজ থাকার ৯ দিনের মাথায় শুক্রবার ১ এপ্রিল দিনগত রাতে নিহত শিশুর আপন চাচাতো ভাই শাহাদাতকে সন্দেহজনক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তার দেয়া তথ্য মতে ঘটনার ১০ দিন পর নিহতের বাড়ির একটি শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্ত আসামি শিশু আছমাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাকে প্রথমে হত্যা করে তারপর তাকে ধর্ষণ করে মরদেহ বাড়ির শৌচাগারের ট্যাংকে ফেলে দেয়।

ওসি আরো বলেন, নিখোঁজ শিশুর পিতা এ ঘটনায় চাটখিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডির সূত্র ধরে তদন্তে নেমে পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করে। পরে আসামির ভাষ্য মতে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, নির্বিঘ্নে ধর্ষণ করতে অভিযুক্ত আসামি প্রথমে শিশুকে হত্যা এবং তারপর ধর্ষণ করে বলে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানায় সে।

সর্বশেষ