২০২৩ সালে তেলের দাম আরও বাড়তে পারে। আবারও প্রতি ব্যারেলের মূল্য ১০০ ডলারে উঠতে পারে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি করোনা বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করেছে চীন। এতে দেশটির শিল্প-কারখানায় কার্যক্রম গতি পেয়েছে। এতে সেখানে তেলের চাহিদা বেড়েছে।
এছাড়া বিনিয়োগের অভাবে সরবরাহ কমেছে। ফলে ব্যারেলপ্রতি জ্বালানি পণ্যটির মূল্য ১০০ ডলার ছাড়িয়েও যেতে পারে। তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংগঠনের (ওপেক) সদস্যদের কর্মকর্তারা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০২২ সালে প্রতি ব্যারেল তেলের মূল্য ১০০ ডলারের ওপরে ওঠে। ২০১৪ সালের পর যা প্রথম। গত বছরের শুরুতে বিশ্বের অধিকাংশ স্থান থেকে কোভিড-১৯ লকডাউন উঠে যায়।
এছাড়া ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা শুরু করলে সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। তাতে জ্বালানি পণ্যটির দামও দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে। তবে বছরের শেষদিকে অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কা দেখা দেয়।
এতে তেলের দরপতন ঘটতে থাকে। আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত ব্রেন্টের প্রতি ব্যারেলের মূল্য দাঁড়ায় ৮৬ ডলার। ফলে ওপেকভুক্ত দেশগুলো ব্যাপক মুনাফা করে। এরপর দর কমছিল।
কিন্তু আসন্ন মার্চ থেকে প্রতিদিন ৫ লাখ ব্যারেল বা ৫ শতাংশের বেশি তেল উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। ফলে আবার দাম বাড়তে শুরু করেছে।
তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংগঠন এবং তাদের মিত্রদের জোট ওপেক প্লাসের নীতি-নির্ধারকরা জানিয়েছেন, জ্বালানি পণ্যটির দাম আরও বাড়তে পারে। তবে কী পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে তা স্পষ্ট করেননি তারা।
ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা চালানোর পর ব্যাপক ঊর্ধ্বমুখী হয় তেলের বিশ্ববাজার। প্রতি ব্যারেলের মূল্য স্থির হয় ১৪৭ ডলারে। ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ।
মতামত দিন