গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি ভাঙচুর এবং পরবর্তীতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
শনিবার বিকেলে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর বাস-স্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শেখ হাসিনাকে ‘সম্মানের সাথে দেশে ফিরিয়ে আনার’ দাবিতে গোপালগঞ্জে কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভ করে।
এ সময় তারা ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে। সেনা সদস্যরা অবরোধ তুলে নিতে বললে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ভাঙচুর শুরু করে এবং এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
বিক্ষোভের সময় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা হাতে লাঠি, রাম দা ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্র বহন করছিল। স্থানীয় সাংবাদিকরা বলছেন, বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেবার জন্য সেনাসদস্যরা লাঠিচার্জ ও ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলে জানা গেছে।
শেখ হাসিনাকে ফিরে আনার দাবিতে এনিয়ে টানা তিনদিন গোপালগঞ্জে বিক্ষোভ হয়েছে। তবে আজ বিক্ষোভ সহিংসতায় গড়িয়েছে।
বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে কিছু সাংবাদিকের নাম প্রকাশ করেছে, যাদের সাংবাদিক অঙ্গনে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলা হয়েছে।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তরফ থেকে ৫১ জন সাংবাদিকের তালিকা তুলে ধরা হয়।
এই প্রেস রিলিজের বিষয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে , “ছাত্র-জনতার রক্ত ঝরানোর ইন্ধনদাতা দালাল সাংবাদিক ফরিদা ইয়াসমিন, শ্যামল দত্ত গংদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে।” প্রকাশিত তালিকায় থাকা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
“আমরা মনে করি সাংবাদিকতার আড়ালে এদের কর্মকাণ্ড ছিল জাতীয় স্বার্থ ও রাষ্ট্র বিরোধী। ছাত্ররা এখন রাষ্ট্র সংস্কারের কাজে হাত দিয়েছে। এসব জাতীয় দুশমনরা প্রেসক্লাবের নাম ভাঙিয়ে আর যাতে জাতীয় ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য তাদের বহিষ্কার ও সাংবাদিকদের নিষিদ্ধ করার নিবেদন জানাচ্ছি,” বলা হয়েছে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।
বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যাদের নাম তালিকা করে প্রকাশ করেছে সেটি নিচে তুল ধরা হলো। ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের ও আব্দুল হান্নান মাসুদের নামে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
শনিবার সকালে ফুলকোর্ট সভা ডেকেছিলেন বাংলাদেশের বিদায়ী প্রধান বিচারপতি। তবে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রবল প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে সেই সভা বাতিল করা হয়।
ঘটনা পরম্পরায় পদত্যাগ করেছেন প্রধান বিচারপতিও।
সুপ্রিম কোর্টকে বাংলাদেশের সংবিধানের রক্ষক এবং ব্যাখ্যাকারী বলা হয়। বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ স্তর এই সুপ্রিম কোর্ট।
আর, প্রধান বিচারপতিই বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
দেশের সর্বোচ্চ এ আদালতে দুইটি বিভাগে বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
এ দুটি বিভাগ হলো আপিল বিভাগ এবং হাইকোর্ট বিভাগ।
এই দুই বিভাগের সকল বিচারপতির অংশগ্রহণে যে সভা অনুষ্ঠিত হয় তাকেই 'ফুল কোর্ট' সভা বলা বলা হয়।
বিচার বিভাগের প্রধান নির্বাহী হিসেবে এই সভা আহ্বানের এখতিয়ার প্রধান বিচারপতির।
এতদিন বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের দুই বিভাগে মোট ৯০ জন বিচারপতি ছিলেন।
এর মধ্যে আপিল বিভাগে সাতজন এবং হাইকোর্ট বিভাগে ৮৩ জন বিচারকার্য পরিচালনা করতেন।
'ফুল কোর্ট' বৈঠকে বিচার বিভাগের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সবার সাথে আলোচনা করেন প্রধান বিচারপতি।
অনেক সময় জরুরি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেও এ সভা আহবান করা হয়ে থাকে।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ পদত্যাগ করেছেন।
শনিবার রাষ্ট্রপতির বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
পদত্যাগের খবর শুনলেও আনুষ্ঠানিকভাবে কোন কাগজ পাননি বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমান।
তবে অধ্যাপক ফরিদ স্থানীয় গণমাধ্যকে জানান, ব্যক্তিগত কারণে তিনি পদত্যাগ করছেন।
উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর প্রভোস্ট এবং প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরাও পদত্যাগ করেছেন।
শেখ হাসিনাকে ‘সম্মানের সাথে দেশে ফিরিয়ে আনার’ দাবিতে গোপালগঞ্জ এবং বরগুনা সদরে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। গোপালগঞ্জে এনিয়ে টানা তিনদিন বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থকরা।
বিক্ষোভের সময় তারা হাতে রাম দা, লাঠি, হকিস্টিক ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্র উঁচিয়ে শ্লোগান দিয়েছে। গোপালগঞ্জ শেখ হাসিনার নিজ জেলা। “আমাদের নেত্রীকে বল প্রয়োগে ষড়যন্ত্রমূলক-ভাবে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে।
তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা শপথ নিয়েছি। তাকে সসম্মানে দেশ ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরবো না,” সমাবেশে বলেন গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম শাহাবুদ্দিন আজম।
এদিকে বরগুনা সদরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। শহরে প্রায় তিনশ থেকে সাড়ে তিনশ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী মিছিল করেছে।
“এই আওয়ামী লীগ কোনদিন ঘরে বসে থাকবেনা। আওয়ামী লীগ হলো জনগণের আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের শক্তি ক্যান্টনমেন্ট নয়, আওয়ামী লীগের শক্তি কোন বাহিনী নয়,” সমাবেশে বলেছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর।
স্থানীয় নেতারা বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাননি। পরিস্থিতির কারণে তিনি দেশের বাইরে আছেন।
“আন্দোলনের নামে যাতে আর কোন মায়ের বুক খালি না হয় সেজন্য তিনি দেশের বাহিরে আছেন,” বলছিলেন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্বাস হোসেন।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, নতুন পরিস্থিতির কারণে ব্যাংকগুলো চালু করা এবং বন্দর চালু করার বিষয়ে তারা গুরুত্ব দিচ্ছেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে আমাদের ওপর দায়িত্ব অর্পন করা হয়েছে। অর্থনীতি যদি থমকে যায়, তাহলে বন্ধ হয়ে যাওয়া গাড়ির মতো স্টার্ট করতে সময় লাগবে।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংকের ওপর আস্থা ফেরাতে সরকার কাজ করবে।
"বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যক্রম সম্পূর্ণ চালু হবার পর ব্যাংকিং খাতে সংস্কারের বিষয়টি সামনে আসবে," যোগ করেন তিনি।
অর্থ উপদেষ্টা আরো বলেন, মানুষের আয়ের সংস্থান বৃদ্ধি করা এবং মূল্যস্ফীতি কমানো তাদের প্রধান লক্ষ্য থাকবে।
মৌলিক কাজগুলো করতে বেশি সময় লাগবে না বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।
উন্নয়নের সুফল বেশিরভাগ মানুষ পাননি উল্লেখ করে মুল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে যেসব ভুল উদ্যােগ নেয়া হয়েছে সেগুলো সংস্কার করার কথাও বলেন মি. আহমেদ।
ঢাবি উপাচার্যের পদত্যাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল পদত্যাগ করেছেন।
শনিবার রাষ্ট্রপতি বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠান তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক এবং ক্যাম্পাসে কর্মরত একজন সাংবাদিক বিবিসি বাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বছরের চৌঠা নভেম্বর উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল। সে হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার নয় মাসের মাথায় পদত্যাগ করলেন তিনি।
একইসাথে অন্তত ছয়টি হলের প্রভোস্টও পদত্যাগ করেছেন
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান পদত্যাগ করেছেন। তার পদত্যাগ পত্রটি আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন এই মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
যত দ্রুত সম্ভব এটি রাষ্ট্রপতির দপ্তরে পাঠানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আপিল বিভাগের আরো পাঁচজন বিচারপতি পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন বলে হাইকোর্ট সূত্র জানিয়েছে।
এর আগে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিদের দুপুর ১ টার মধ্যে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
এর আগে সকাল ১১টার দিকে প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে ঢল নেমে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের। এ সময় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে হাইকোর্টে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে।
বিক্ষোভে শতাধিক আইনজীবী অংশগ্রহণ করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি সুপ্রিম কোর্টের মূলভবনসহ আপিল বিভাগের এলাকা প্রদক্ষিণ করেন।
এর আগে প্রধান বিচারপতিকে ফ্যাসিবাদের দোসর আখ্যায়িত করে ফুলকোর্ট সভা বন্ধ করে পদত্যাগের দাবিতে আল্টিমেটাম দেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।
আইন ও বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের মতবিনিময় সভায় পাঁচটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
১. জুলাই-অগাস্টে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন দমন করার জন্য যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সেগুলোর সাথে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা।
২. পহেলা জুলাই থেকে পাঁচই অগাস্ট পর্যন্ত আন্দোলন দমন করতে যেসব ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছে, সেগুলো আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রত্যাহারে ব্যবস্থা গ্রহণ
৩. যেসব শিশু কিশোর মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় আটক রয়েছে, তাদের আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা
৪. সন্ত্রাস দমন আইন ও সাইবার নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলাগুলো দ্রুত প্রত্যাহার
৫. আইন ও বিচার বিভাগের ১৬৪৩০ নাম্বারে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় ভিকটিম সাপোর্ট দেয়া হবে
ওবায়দুল হাসান বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি। রাষ্ট্রপতি মো সাহাবুদ্দিন ২০২৩ সালের ১২ই সেপ্টেম্বর তাকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন।
পরে ২৬শে সেপ্টেম্বর তিনি শপথ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
আইন বিষয়ে পড়াশোনা শেষে ১৯৮৬ সালে আইনজীবী হিসেবে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সনদ পেয়ে জেলা বার-কমিটিতে যোগ দেন ওবায়দুল হাসান।
পরে ১৯৮৮ সালে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে নথিভুক্ত হন। এর ১৭ বছর পর ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন তিনি।
তিনি সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত টানা পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৯ সালে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০১১ সালে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে তার নিয়োগ নিশ্চিত করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচারে ২০১২ সালে যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন করা হয়েছিল সেখানে তিনি সদস্য হিসেবে যোগ দিলেও ওই বছরের শেষে এর চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি নিয়োগ পান।
২০১৫ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়ে তিনি ১১টি রায় ঘোষণা করেন।
এরপর ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য প্রণীত অনুসন্ধান কমিটি, ২০২২এর সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
শিক্ষা জীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন।এর আগে তিনি অর্থনীতিতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ওবায়দুল হাসান ১৯৫৯ সালের জানুয়ারিতে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার ছায়াশী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
কোটা আন্দোলন চলার সময় নিহত রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদের পীরগঞ্জের বাড়িতে গিয়েছেন প্রধান উপদেষ্ঠা ড.মুহাম্মদ ইউনূস।
আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের পর তিনি পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন।
সেখানে তিনি বলেছেন, ''আবু সাঈদ এখন আর এক পরিবারের সন্তান না। ''বাংলাদেশে যত পরিবার আছে, তাদের সন্তান। যারা বড় হবে, স্কুল-কলেজে পড়বে, তারা আবু সাঈদের কথা জানবে এবং নিজে বলবে,আমিও ন্যায়ের পক্ষে লড়ব।''
''জাতি ধর্ম নির্বিশেষে নির্বিশেষে সবারই সন্তান আবু সাঈদ। হিন্দু পরিবার হোক, মুসলমান পরিবার হোক, বৌদ্ধ পরিবার হোক—সবার ঘরের সন্তান এই আবু সাঈদ,'' তিনি বলেন।
ড. ইউনূস বলেছেন, ''এটা আবু সাঈদের বাংলাদেশ, যেখানে কোনো ভেদাভেদ নেই। আপনাদের কাছে অনুরোধ, যে যেখানেই আছেন, সবাইকে রক্ষা করুন। কোনো রকম গোলোযোগ হতে দেবেন না''
১৬ই জুলাই বিক্ষোভ চলার সময় পুলিশের গুলিতে মারা যান আবু সাঈদ।
কোটা আন্দোলন ঘিরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের ছয় জন কংগ্রেস সদস্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার পাঠানো ওই চিঠিতে সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যলা বলেছেন, কোটা আন্দোলন ঘিরে শেখ হাসিনার সরকার যেভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে অসঙ্গতিপূর্ণ ও বেআইনি বলপ্রয়োগ করেছে। যাতে বহু প্রাণহানি হয়েছে, যা ভিন্নমতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের দমনপীড়নের অংশ।
কিন্তু মানবাধিকার লঙ্ঘনের এসব ঘটনায় দলটির নেতাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা হয়নি।
এমন প্রেক্ষাপটে ওবায়দুল কাদের ও আসাদুজ্জামান খানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানান মার্কিন আইনপ্রণেতারা।
চিঠিতে স্বাক্ষরকারী কংগ্রেস সদস্যরা হলেন লয়েড ডগেট, এডওয়ার্ড জে মার্কি, উইলিয়াম আর কিটিং, ক্রিস ভন হলেন, জেমস পি ম্যাকগভার্ন ও অল গ্রিন।
মতামত দিন