• ২০২৪ অক্টোবর ০৫, শনিবার, ১৪৩১ আশ্বিন ২০
  • সর্বশেষ আপডেট : ০১:১০ অপরাহ্ন
English
পরিচালনাপর্ষদ
আমাদের সাথে থাকুন আপনি ও ... www.timebanglanews.com

সিলেট সাদাপাথর থেকে লুট করা পাথরসহ ১০ ট্রলি আটক

  • প্রকাশিত ০৩:১০ অপরাহ্ন শনিবার, অক্টোবর ০৫, ২০২৪
সিলেট সাদাপাথর থেকে লুট করা পাথরসহ ১০ ট্রলি আটক
ফাইল ছবি
সিলেট অফিস :

পর্যটন দিবসে পর্যটন কেন্দ্র সাদাপাথর থেকে চুরি হওয়া পাথর উদ্ধার করেছে পুলিশ। দিনভর পুলিশের অভিযানে ১০টি পাথর বুঝাই ট্রলি আটক করেছে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার উপজেলার দয়ারবাজার এলাকা থেকে সাদাপাথর বোঝাই এই ট্রলিগুলো আটক করা হয়। এদিন সকাল থেকে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনানের নেতৃত্বে দিনভর পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযানে সাদাপাথর থেকে লুট করে নিয়ে আসা পাথর বোঝাই করার সময় হাতেনাতে আটক করা হয় ১০টি ট্রলি। পরে সেগুলো থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে, ৫ আগস্টের পর রাতদিন চলছে সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্র ও বাংকার থেকে পাথর লুটপাট। পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকায় প্রায় শতকোটি টাকার পাথর লুটপাট হয়েছে। এই লুটপাটের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সোচ্চার ছিল বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। পাথর লুটপাট ও চাঁদাবাজি থামাতে গিয়ে আটক হয়েছিলেন ৯জন। তাদের অভিযোগ সাদাপাথর ও বাংকারের পাথর লুটপাট ও চাঁদাবাজি থামাতে যাওয়ায় তাদেরকে চাঁদাবাজ বানানো হয়েছে।

পাথর ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন জানিয়েছেন দিনে বাংকার থেকে পাথর তুলে মজুদ করা হয় আর রাত হলেই সেই পাথরের সাথে পর্যটন কেন্দ্র সাদাপাথর থেকে পাথর নিয়ে আসা হয়। নৌকা দিয়ে সেই পাথরগুলো ভোলাগঞ্জ দশ নম্বর, নয়াবাজার, দয়ারবাজার ও কলাবাড়ী এলাকায় নদীর তীরে রাখা হয়। পরে সেই পাথরগুলো ছোট ছোট ট্রলি দিয়ে স্থানীয় ক্রাশার মিলে বিক্রি করা হয়। এছাড়াও এই পাথর হাইড্রলিক ট্রাক দিয়ে ধোপাগুলের মিলে বিক্রি করা হয়। তবে ব্যসায়ীরা জানিয়েছেন এতদিন তারা নির্বিঘ্নে ব্যবসা করলেও এখন পুলিশের কড়াকড়িতে পাথর পরিবহনে অনেকটা রিক্স হয়ে গেছে। কিন্তু সাদাপাথর ও বাংকার থেকে নৌকা দিয়ে পাথর আসছে অহরহ।

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে থাকা হাবিবুর রহমান মামুন জানান, পর্যটন কেন্দ্র সাদাপাথর ও বাংকার থেকে পাথর লুটপাটের বিরুদ্ধে আমরা সর্বদা সোচ্চার ছিলাম। সেনাবাহিনীকে নিয়ে রাস্তায় অভিযান দিয়ে বেশ কিছু পাথরও আটক করেছিলাম। আমাদের তৎপরতায় পাথর লুটপাটকারীদের সমস্যা হওয়ায় আমাদেরকে চাঁদাবাজ বানিয়ে তারা জেলে পাঠিয়েছিল। গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে পাথর লুটপাট ও চাঁদাবাজি বন্ধ করতে দয়ার বাজার এলাকায় আমরা গিয়েছিলাম। সেখানে স্থানীয় কয়েকজন আমাদেরকে চাঁদাবাজ সাজিয়ে জেল হাজতে পাঠায়। সাদাপাথর লুটপাট বন্ধে পুলিশ আরো কঠোর হবে এটাই প্রত্যাশা।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজায়ের আল মাহমুদ আদনান জানান, পর্যটন কেন্দ্র ও বাংকার থেকে পাথর চুরির বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার রয়েছি। পুলিশ নিয়মিত অভিযান দিচ্ছে। পর্যটন দিবসেও সাদাপাথরের পাথর চুরি হচ্ছে এমন সংবাদে শুক্রবার সকালে আমরা অভিযান চালাই। অভিযানে ১০টি পাথর বোঝাই ট্রলি আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা ট্রলির মালিকদের খোঁজে বের করার চেষ্টা করছি। এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সর্বশেষ