• ২০২৫ Jul ০১, মঙ্গলবার, ১৪৩২ আষাঢ় ১৬
  • সর্বশেষ আপডেট : ০১:০৭ পূর্বাহ্ন
English
পরিচালনাপর্ষদ
আমাদের সাথে থাকুন আপনি ও ... www.timebanglanews.com

কক্সবাজার সদর তেতৈয়া মৌজায় ডিপি ক্যাম্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির মূল কারিগরি সুজন ত্রিপুরা নিজস্ব বাহিনী

  • প্রকাশিত ০২:০৭ পূর্বাহ্ন মঙ্গলবার, Jul ০১, ২০২৫
কক্সবাজার সদর তেতৈয়া মৌজায় ডিপি ক্যাম্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির মূল কারিগরি সুজন ত্রিপুরা নিজস্ব বাহিনী
File
মতিউল ইসলাম (মতি)

কক্সবাজার সদর তেতৈয়া মৌজায় ডিপি ক্যাম্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির মূল কারিগরি সুজন ত্রিপুরা নিজস্ব বাহিনী 

 

মতিউল ইসলাম কক্সবাজার প্রতিনিধি


কক্সবাজারের তেতৈয়া মৌজার ডিপি ক্যাম্পে  চরম দুর্নীতি ও অনিয়মের ফলে ভূমি মালিকরা চরম হয়রাণির শিকার হচ্ছেন। ওই অফিসে অতিরিক্ত অর্থ ছাড়া সেবা মিলে না, টাকা ছাড়া খসড়া খতিয়ান ও আপত্তি নেওয়ার নিয়ম থাকলেও প্রতি খতিয়ান ও আপত্তি দায়ের করার জন্য নিচ্ছে  ১০০০ টাকার পরচা ৩০০০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে।কিছু কিছু ক্ষেত্রে ৫/৬ হাজার টাকাও নিচ্ছে এমন অভিযোগ তেতৈয়া মৌজার ভূমি মালিকদের। এতে করে চরম ক্ষুদ্ধ কক্সবাজার সদর উপজেলার তেতৈয়া মৌজার  ভূক্তভোগী ভূমি মালিকরা।

সূত্রে জানা যায় - চট্টগ্রাম দিয়ারা অফিসের সেটেলমেন্ট অফিসার সুজন ত্রিপুরা নিজস্ব লোক দিয়ে ডিপি ক্যাম্প পরিচালনা করছে। তেতৈয়া মৌজার ডিপি ক্যাম্পের পেশকার আলমগীর, ভিক্ষু প্রজ্ঞা, সৈয়দ আলী হচ্ছে সেটেলমেন্ট অফিসার সুজন ত্রিপুরার নিজস্ব বাহিনী। তাদের দিয়ে ঘুষ বাণিজ্য সহ নানান অনিয়ম করাচ্ছে সুজন ত্রিপুরা।  তথ্য মতে,  ডিপি ক্যাম্পে নামে মাত্র একজন সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার আবু শাহীন আযাদ  থাকলেও মূল ডিপি ক্যাম্প পরিচালনা করছে সুজন ত্রিপুরা। জমির মালিকদের বাধ্য করা হচ্ছে টাকা দিতে। টাকা নেওয়ার দায়িত্বে রয়েছে ভিক্ষু প্রজ্ঞা ও সৈয়দ আলী। ডিপি ক্যাম্পের নির্দিষ্ট সময় শেষ হয়ে গেলেও কৌশলে আপত্তি গ্রহণের সময় বৃদ্ধি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই সিন্ডিকেট টি। এখনো আপত্তি চলমান থাকলেও সৈয়দ আলী,  ভিক্ষু, আলমগীরের নেতৃত্বে রয়েছে আরেকটি দালাল চক্র তাদের দিয়ে আপত্তি শুনানির সময় মামলার রায় পক্ষে দেওয়ার আশ্বাসে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী জমির মালিকদের। 


এছাড়া ও শাহীন আযাদের বিরুদ্ধে ও মাঝে মধ্যে এই সিন্ডিকেট দ্বারা ষড়যন্ত্র হচ্ছে এমনটা জানালেন নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ডিপি ক্যাম্পের এক কর্মচারী। 


নজরুল ইসলাম নামের একজন জানান- ডিপি ক্যাম্পে প্রতিটি আপত্তি কেইসে ৩/৪ হাজার করে দিতে হচ্ছে। এই বিষয়ে সুজন ত্রিপুরা নামের একজন কে অভিযোগ দেওয়ার পরে কয়েকঘন্টা পরে এসে লোকদেখানো অফিসে তার নিয়ন্ত্রিত সিন্ডিকেট টিকে বকাবকি করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলার আশ্বাস দেওয়ার পরেও এখনো বহাল তবিয়তে ঐ সিন্ডিকেটর ভিক্ষু প্রজ্ঞা, আলমগীর, সৈয়দ আলী। তিনি আরো জানান- সকল কাজের টাকার ভাগবাটোয়ারার সিংহ ভাগ টাকা সুজন ত্রিপুরা কে দিতে হয় নাকি ডিপি ক্যাম্পের এই দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট কে। 



তেতৈয়া মৌজার ডিপি ক্যাম্পের সেবা নিয়ে নাখোশ স্থানীয় লোকেরাও। সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ এ অফিসে ঘুষ ছাড়া কোনো সেবাই মিলে না। এ অনিয়মের সাথে অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত। এছাড়াও রয়েছে দালালদের দৌরাত্ন্য। 


সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগে জানা গেছে, জমির রেকর্ডের খসড়া পর্চা, জমি আপত্তি দায়ের  সংক্রান্ত সব সেবার ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত টাকা গুণতে হয়। এর যোগসূত্র হচ্ছে চট্টগ্রাম সেটেলমেন্ট অফিসার সুজন ত্রিপুরা । সিন্ডিকেটে রয়েছে পেশকার ভিক্ষু প্রজ্ঞা,  আলমগীর,   ও অফিস সহায়ক সৈয়দ আলী  দালালদের সাথে মিলে বিভিন্ন অনিয়ম করছেন।


জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত সিটিজেন চার্টার অনুযায়ী, ভূমি মালিকদের নিকট থেকে নির্দিষ্ট অংকের রাজস্ব কোর্ট ফি নেওয়ার কথা থাকলেও অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে। অনেকে ভয়ে আপত্তি শুনানি করার সময় ক্ষতি হবে চিন্তা করে কথা বলছে না। এই সিন্ডিকেটটি বহিরাগত দালাল দিয়ে জমির মালিকদের এই বার্তা দিচ্ছে।


এ বিষয়ে সুজন ত্রিপুরা কাছে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সর্বশেষ