পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর এলাকায় নাম ঠিকানাবিহীন মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা যায়, তাঁরা ট্রাক চালক ও হেলপার ছিলেন।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকালে তাদেরকে উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর এলাকা থেকে পুলিশের কাছে সোপর্দ্য করেন বন্দর নিরাপত্তা প্রহরীসহ এলাকাবাসী। এ ঘটনায় ওই ইউনিয়নের মহল্লাদার গ্রাম পুলিশ হাবীবুল্লাহ বাদী হয়ে নারী শিশু দমন আইন ২০০০(সংশোধনী ২০০৩) এর ৯ (৩)/৩০ ধারায় ধর্ষকদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে। যার তেঁতুলিয়া মডেল থানার এফআইআর মামলা নং ১২ ও জিআর মামলা নং ১১৬।
মামলায় গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন, সোহেল শেখ (৩২) বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার গুজিয়ার হাট চাদিনা (শিবগঞ্জ দক্ষিণপাড়া) এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে ও মোস্তফা ওরফে হানিফ মিজানুর (২১) ওই উপজেলার কিচক ভাগদহ এলাকার ময়েন উদ্দিন ময়েন কাজীর ছেলে, সোহেল হাসান(২০) বগুড়া সদর উপজেলার পৌরসভা মানিকচক(উত্তরপাড়া) এলাকার মন্টু মিয়ার ছেলে এবং রাজীবুল ইসলাম রাজীব(১৯) বগুড়া সদর উপজেলার নামুজা ভান্ডারিপাড়া এলাকার পলাশ প্রামানিকের ছেলে।
স্থলবন্দর নিরাপত্তা প্রহরী তুষার হোসেন ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, রাত ১২টার দিকে আটকৃতদের মধ্যে যিনি বয়সে বড় ছিলেন তিনি বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের প্রথম গেইট হতে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে অগোচরে ধরে নিয়ে যান। ধরে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁরা জোরপূর্বক মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে ধর্ষণ করতে থাকলে বন্দরের নিরাপত্তা প্রহরী তুষারসহ আরোও দুই জন ব্যক্তি তাদের আটক করে রাখেন। এরপর তাদেরকে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় পুলিশের কাছে সোপর্দ্য করা হয়।
বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মো. নবীউল কারিম সরকার মুঠোফোনে বলেন, তিনি তিন দিনের ট্রেনিং এ বগুড়ায় আছেন।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুসা মিয়া বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীন নারী ধর্ষণের অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নারী শিশু দমন আইন একটি মামলা হয়েছে। থানার প্রাথমিক কার্যক্রম শেষে গ্রেফতার কৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে, যেখানে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
মতামত দিন