নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
জেলার হাতীবান্ধায় উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম বেজগ্রামে গৃহবধূ দিলরুবা আক্তার টুম্পা (২৫) বাবার- মা’র বাড়ি হতে যৌতুক আনতে রাজি না হওয়ায় ধারালো অস্ত্রে পায়ের রগ কেটে দিয়েছে পাষন্ড স্বামী ও বাড়ির স্বজনরা। প্রতিবেশিরা ওই নির্যাতিতা গৃহবধূ কে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় আজ সোমবার দুপুরে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
গত শনিবার রাতে দুই লাখ টাকার যৌতুকের দাবিতে গ্রহবধু টুম্পাকে স্বামী মারধর করে। এ সময় এই নির্যাতনে যোগ দেয় দেবর ও শাশুড়ি। ঘটনার এক পর্যায়ে সকলের সহায়তায় পাষন্ড স্বামী প্রাণ ধারাল অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী টুম্পার পায়ের রগ কেটে দেয়।
এই ঘটনায় হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিমবেজগ্রামের মোখলেছার রহমানের ছেলে গৃহবধূদিলরুবার স্বামী অছিউর রহমান প্রাণ(২৭), ভাই মুরাদ হোসেন মন ও মা মালতি লতা কে আসামী করে মামলা দিয়েছে।
জানা গেছে, প্রায় ৫ বছর পূর্বে প্রেম করে অন্যত্র পালিয়ে বিয়ে করে গৃহবধু টুম্পা ও অছিউর রহমান প্রাণ। প্রথমে কয়েক বছর উভয় পরিবার সর্ম্পক মেনে নেয়নি। তখন অন্যের বাড়িতে পৃথক ভাবে ভাড়ায় থেকে সংসার চলছিল। সংসার ভালই চলছিল। স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে তেমন কোন বিভেদ ছিলনা বললেই চলে। টুকি টাকি মান অভিমান ছাড়া। প্রেম করে বিয়ে করায় দুই জনের প্রতি দুই জনের ছিল গভীর সম্পর্ক। কিন্তা এই দম্প্রতির কোলে পুত্র সন্তান আসে। এই নতুন অতিথির সুবাদে উভয় পরিবার একত্র হয়ে তাদের মেনে নেয়। কিন্ত বাধা হয়ে দাঁড়ায় শাশুড়ি মালতি লতা। কয়েক মাস যেতে না যেতে গৃহবধু দিলরুবার শ্বাশুড়ি পান থেকে চুনখসলে নানা কথা শুনান ও বাড়ি ভর্তি লেকজনের সামনে চড়থাপ্পর দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে অপমান করতে থাকে। এক পর্যায় বিষয়টি স্বামীর সাথে শেয়ার করে। স্বামীর পরামর্শে শ্বশুড়ি মাকে তার ওপর নির্যাতন নিপীড়ন সম্পর্কে সমঝতা করতে যায়। তখন শ্বশুড়ি বাবা, মা, ও ভাইনবোনদের কাছ হতে দুই লাখ টাকা আনতে বলে। গৃহবধু প্রেম করে বিয়ে করায় স্বজনরা অর্থ দিবেনা বলে জানিয়ে দেয়। হাতীবান্ধা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) এরশাদুল আলম জানান, হাসপাতালের বেড়ে গুরতর অসুস্থ্য অবস্থায় গৃহবধুর চিকিৎসা চলছে। তার পায়ে রক্তাক্ত ব্যান্ডেজ দেখেছি। মামলার আসামী আটকের সকল ধরনের চেষ্টা চলছে।
মতামত দিন