নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
করোনাভাইরাস টিকার পর্যাপ্ত মজুত দিয়ে সংশয় দূর করে নির্ধারিত সময় ৮ এপ্রিল থেকেই এর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন।
সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অনির্ধারিত আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “একটা বিষয়ে আলোচনা ছিল, ভ্যাকসিনের অবস্থাটা কি হবে? দ্বিতীয় ডোজ ৮ তারিখ ( ৮ এপ্রিল) থেকে কি কন্টিনিউ করবে, নাকি করবে না।
“এটা প্রধানমন্ত্রী ক্লিয়ার করেছেন, ৮ তারিখ থেকে যে ভ্যাকসিনের সেকেন্ড ডোজ শুরু হওয়ার কথা সেটা যথাযথভাবে চলবে। প্রথম ডোজ কাল (৬ এপ্রিল) শেষ হয়ে যাবে।৮ তারিখ থেকে কনফার্ম। আমাদের টিকা আছে।”
দ্বিতীয় ডোজ শুরু করার মতো টিকার পর্যাপ্ত মজুদ আছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “এখন পর্যন্ত অসুবিধা হবে না।
“আমি কথা বলেছি। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, যে পরিমাণ ফাস্ট ডোজ দেওয়া হয়েছে, দ্বিতীয় ডোজ দিতে তেমন কোনো সমস্যা হবে না।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্সকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে গত ২৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে বহু প্রতীক্ষিত টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।
পরদিন ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীদের পরীক্ষামূলকভাবে এ টিকা দেওয়া হয়। সেখানে কোনো জটিলতা দেখা না দেওয়ায় ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় সারা দেশে গণ টিকাদান।
যারা জানুয়ারির ২৮ তারিখে প্রথম টিকা নিয়েছেন, তারা দ্বিতীয় ডোজ নেবেন ২৮ মার্চ। আর যারা ৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম টিকা নিয়েছেন, তাদের ৭ এপ্রিল দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল।
রমজানকে সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয় বৈঠকে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ পর্যাপ্ত আছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “তেলের দাম ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে বেশি বলে উনারা একটা প্রস্তাব দিয়েছেন। ট্যাক্সের ক্ষেত্রে রিবেট (ছাড়) দিলে আমরা কম দামে বাজারে দিতে পারব।
“রাজস্ব বোর্ড বলেছে, এই বিষয়ে তারা চিন্তা করবেন। মন্ত্রিসভা বলেছে, যে পরিমাণ রিবেট দেওয়া হবে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করবে খুচরা মূল্যে সেই পরিমাণ প্রভাব যাতে পড়ে।”
মতামত দিন