• ২০২৪ Jul ০৬, শনিবার, ১৪৩১ আষাঢ় ২২
  • সর্বশেষ আপডেট : ১২:০৭ অপরাহ্ন
English
পরিচালনাপর্ষদ
আমাদের সাথে থাকুন আপনি ও ... www.timebanglanews.com

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে জাতীয় ও দলীয় পতকা উত্তোলন নিয়ে এমপির সামনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ।

  • প্রকাশিত ০৪:০৭ অপরাহ্ন শনিবার, Jul ০৬, ২০২৪
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে জাতীয় ও দলীয় পতকা উত্তোলন নিয়ে এমপির সামনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ।
সংগৃহীত
নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছয়জন আহত হয়েছেন। পরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নয় বছর পর ডাকা সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

রোববার (৯ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার জয়াগ মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নোয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিমের উপস্থিতে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- জয়াগ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হাফিজ তানভীর, যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুর রহিম, ১ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ইসমাঈল হোসেন বাবু, জয়াগ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাব্বিসহ অন্তত ৬জন। তাদের সোনাইমুড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, জয়াগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথিদের বাদ দিয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় ককটেল বিস্ফোরণে সমগ্র এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। একে অপরকে চেয়ার ছুড়ে মারেন। উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

সম্মেলনে নোয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য সদস্য এইচ এম ইব্রাহিমসহ প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম, সোনাইমুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার রুহুল আমিন ও সম্মেলনের সমন্বয়ক জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি ফুয়াদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে অতিথিরা আসার আগেই সোনাইমুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমিনুল ইসলাম বাকের ও সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাবুল বাবু জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে সম্মেলন শুরু করেন। পরে সম্মেলন স্থলে গিয়ে অতিথিরা অসন্তোষ প্রকাশ করলে তাদের সমর্থিত নেতাকর্মীরা হামলা ভাঙচুর ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়।

এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পতাকা উত্তোলন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সম্পাদকেরই করার কথা। তবে এক পক্ষের প্রার্থী কম থাকায় তারা হামলা চালিয়েছে। আমরা সেটা নিয়ন্ত্রণ করি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমিনুল ইসলাম বাকের সংঘর্ষের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, অনুষ্ঠান শুরু নিয়ে একটু ঝামেলা হয়েছিল। পরে সম্মেলন আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুন অর রশিদ জাগো নিউজকে বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সমস্যা হয়েছিল। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে বড় ধরনের কিছু হয়নি।

সর্বশেষ