• ২০২৪ মে ০৪, শনিবার, ১৪৩১ বৈশাখ ২১
  • সর্বশেষ আপডেট : ১১:০৫ অপরাহ্ন
English
পরিচালনাপর্ষদ
আমাদের সাথে থাকুন আপনি ও ... www.timebanglanews.com

প্রকাশ্যে ঘুষ নেওয়া ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বরখাস্ত

  • প্রকাশিত ০৭:০৫ অপরাহ্ন শনিবার, মে ০৪, ২০২৪
প্রকাশ্যে ঘুষ নেওয়া ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বরখাস্ত
ভিডিও ফুটেজ থেকে নেওয়া
ডেস্ক রিপোর্ট

অফিসে প্রকাশ্যে ঘুষ নেওয়া ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোসাম্মৎ নাছরীন সুলতানা সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা চালু করা হয়েছে।মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ত্রিশাল উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি) হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।


এর আগে সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই কর্মকর্তা প্রকাশ্যে অফিসে বসে ঘুষ নিচ্ছেন এমন একটি ভিডিও ব্যাপক ভাইরাল হয়।


জানা যায়, অফিসে বসেই প্রকাশ্যে ঘুষ নিচ্ছিলেন ত্রিশাল উপজেলার কানিহারী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোসাম্মৎ নাছরীন সুলতানা। সম্প্রতি বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে তার অফিসে যান স্থানীয় সাংবাদিক সাইফুল আলম তুহিন। এ সময় ঘুষ গ্রহণের ভিডিও ধারণ করতে সক্ষম হন তিনি।


ভিডিওতে দেখা যায়, ময়মনসিংহের ত্রিশালের কানিহারী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নাছরীন সুলতানা তার অফিসে নামজারি করতে আসা এক ব্যক্তির সঙ্গে টাকার বিনিময়ে কাজ করে দেওয়ার জন্য দর-কষাকষি করছেন। একপর্যায়ে হাসি ভরা মুখে টাকা হাতে নিতে নিতে তাকে বলতে শোনা যায়— ‘আপনি তো আমার চাকরি খাবেন। সামনাসামনি যা করছেন!’

একহাতে টাকা নাড়তে নাড়তে ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নাছরীন সুলতানা হাসিমুখে বলতে থাকেন— ‘আমার চাকরিটা খাওয়ার জন্য আপনি লাগছেন! এই শোনেন, যেটা দেখাইছি ওইটা দিতে হবে, তাহলে আপনি কাজ পেয়ে যাবেন। ভাইঙ্গা ভাইঙ্গা টাকা দিলে এটা অয়না। তারপরও দিয়ে গেলেন! ওই ভাই সামনে ছিল, (পাশে বসে কথা বলতে থাকা এক ব্যক্তিকে দেখিয়ে) তাই আমি রাখলাম, নাইলে রাখতাম না। কিন্তু দেওয়া লাগব, ওইটা না দিলে আপনার খারিজ (নামজারি) হবে না।’

দুই দিন পরে বাকি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই ব্যক্তি দুটি নামজারির জন্য ১৭ হাজার টাকা দেবেন জানালে আবার ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘না এইতো অইতনা, এইতা বাংলা আলাপ কইরেন না।’

নামজারি করতে আসা ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথোপকথনে আরও দেখা যায়, ওই ভূমি কর্মকর্তা ইশারা ইঙ্গিতে টাকার পরিমাণ বোঝানোর চেষ্টা করছেন। নামজারি করতে যে টাকা দাবি করছেন, সেটি ক্যালকুলেটরে লিখে ওই ব্যক্তিকে দেখান এবং বলেন—এটা লাগবে।


সম্পূর্ণ কথোপকথন থেকে জানা যায়, দুটি নামজারির জন্য ওই ব্যক্তি প্রথমে ১০ হাজার টাকা দিতে রাজি হলেও ভূমি কর্মকর্তা দাবি করছেন আরও বেশি। কথোপকথনের সময় পাশে বসে থাকা ব্যক্তিটিকে অতিরিক্ত টাকা দিয়েই নামজারি করার জন্য উৎসাহিত করতে দেখা যায়। এ সময় তিনি ‘ন্যায্য ও নির্ধারিত টাকায়, নিয়ম মেনে’ অফিসে কাজ করতে গেলে যে ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়, তা বিভিন্ন উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেন।


একই সময় সেবা নিতে আসা বেশ কয়েকজনকে যথেষ্ট গোপনীয়তা বজায় রাখতে দেখা যায়। ওই কর্মকর্তার কানে কানে কথা বলতেও দেখা যায় অনেককে।


কথোপকথনের একপর্যায়ে ভূমি কর্মকর্তা বলেন, ‘এইটা তো আমার অফিসের কাজ। আরে এইটা দেবেন আমার অফিসে, আর আপনি নিয়ে ওইখানে (উপজেলা ভূমি অফিস) করে নেন।’


এই ভূমি সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এর আগেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন জন পোস্ট ও মন্তব্য করেছেন।

সর্বশেষ