• ২০২৪ নভেম্বর ২৪, রবিবার, ১৪৩১ অগ্রহায়ণ ১০
  • সর্বশেষ আপডেট : ০৬:১১ পূর্বাহ্ন
English
পরিচালনাপর্ষদ
আমাদের সাথে থাকুন আপনি ও ... www.timebanglanews.com

বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষ: আসামি পাঁচ শতাধিক

  • প্রকাশিত ১০:১১ পূর্বাহ্ন রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষ: আসামি পাঁচ শতাধিক
ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

 স্বাধীনতা দিবসে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতায় বায়তুল মোকাররম এলাকায় বিক্ষোভের সময় সংঘর্ষ, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৫০০ থেকে ৬০০ জন ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।

পল্টন থানার এসআই শামীম হোসেন বাদী হয়ে শুক্রবার রাতেই মামলাটি দায়ের করেন বলে পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেন্টু মিয়া জানান।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, মামলায় আসামিদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শুক্রবার ঢাকায় পৌঁছান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার এই সফরের বিরোধিতা করে আসছিল হেফজতে ইসলামসহ কয়েকটি সংগঠন ও রাজনৈতিক দল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর মসজিদ থেকে বেরিয়ে আসা একদল লোক ভারত ও মোদীবিরোধী নানা স্লোগান দিতে শুরু করলে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও আওয়মী লীগ কর্মীদের সঙ্গে তাদের মারামারি বেঁধে যায়।

সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও জল কামান ব্যবহার করে। এ সময় মসজিদের উত্তর গেইটের সামনে রাস্তার পাশে দুটি মোটর সাইকেলে আগুন দেয় মোদীবিরোধীরা। পুলিশের দিকে বৃষ্টির মত ঢিল ছোড়ে তারা।

সংঘর্ষের মধ্যে সাংবাদিক, পুলিশ, সামাধরণ নাগরি কসহ অন্তত ৬০ জন আহত হন বলে পুলিশের ভাষ্য।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সেদিন জুমার নামাজের ফরজ নামাজ শেষে ‘কিছু মুসল্লি জুতা প্রদর্শন’ করলে আরেকদল তাতে বাধা দেয়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।

“সংঘর্ষের এক পর্যায়ে তারা মসজিদের বাইরে চলে আসে এবং সহিংসতায় রূপ নেয়। এই সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ পরে ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল ছোড়ে।”

সেদিন হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা জুমার নামাজের পর চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে থানা ও বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা করলে সংঘর্ষে চারজন নিহত হন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরেও ব্যাপক তাণ্ডব চালায় কওমি মাদ্রাসার ছাত্ররা। তারা রেলওয়ে স্টেশনসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করে।

পরদিন শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে মাদ্রাসাছাত্ররা ফের আইনশঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘাতে জড়ায়, সেখানে অন্তত পাঁচজন নিহত হন।

রোববার হেফাজতের ডাকে সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘাত-সহিংসতা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে হেফাজতকর্মীরা। পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে তাদের দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত দুই জন নিহত হন।

সর্বশেষ