ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির নিবার্চিত সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লার বিরুদ্ধে শহীদ মিনার অবমাননার অভিযোগ উঠেছে। সভাপতি নিবার্চিত হবার পর রবিবার ১৯ সেপ্টমম্বর প্রথম বারের মত নিজ জেলা কুড়িগ্রামে আসেন। এসময় তাকে জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেতা-কর্মীরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
শহরের শাপলা চত্বরের কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে জুতা পায়ে ওঠার ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ হলে তীব্র প্রতিক্রীয়া সৃষ্টি হয়। স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ জনমনে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ।ফেসবুকে নানা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন অনেকে।
জানাযায়, ররিবার সকালে বিন ইয়ামিন মোল্লা নাগেশ্বরীর নেওয়াশিতে তার নিজ এলাকায় একটি সমাবেশে যোগ দিতে যাবার সময় কুড়িগ্রাম শাপলা চত্বরে আগে থেকে অবস্থানরত নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানান। এসময় শহীদ মিনারের দ্বিতীয় ফ্লোরে জুতা পায়ে ৩০-৪০জন নেতা-কর্মীসহ শহীদ মিনারে উঠে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং একত্রিত হয়ে সবাই ছবি তোলেন।
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন দুলাল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ ধরণের অপরাধ অমার্জনীয়। দেশের প্রতি ভালবাসা, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা না থাকলে এরকমই হয়। যাদের ভিতর দেশ প্রেম নেই তারা কি ভাবে সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও জেলা ক্রীড়াসংস্থার সাধারণ সম্পাদক সাঈদ হাসান লোবান বলেন, ‘শহীদ মিনার আমাদের ভাষা সংগ্রাম ও চেতনার প্রতীক। এই শহীদ মিনার অবমানননা মানে জাতিকে অপমান করা। এদেরকে চিহিৃত করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ’।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাকিবুজ্জামান রাকিব বলেন, ‘ বিন ইয়ামিন ছাত্রদের নেতৃত্ব দিতে চান। কিন্তু ছাত্রদের বুকের রক্তে আঁকা শহীদ মিনার কী করে পদ দলিত করলেন?’
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ বিন ইয়ামিনসহ সহযোগীদের বিরুদ্ধে শহীদ মিনার অবমাননার অভিযোগে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান। তিনি আরও বলেন, ‘বিন ইয়ামিনদের শহীদ মিনারের অবমাননা পরিকল্পিত। ভাষা শহীদদের এভাবে অবজ্ঞা মেনে নেয়া যায় না।’
অভিযোগের বিষয়ে বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘শহীদ মিনারের বেদি বা সিঁড়িতে আমরা জুতা পায়ে উঠিনি। মুল মঞ্চে উঠেছি। ঢাকা শহীদ মিনারের মঞ্চেও অনেকে জুতা পায়ে ওঠে। আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন।
এই বিষয়ে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম টুকু বলেন,শহীদ মিনারের প্রথম সিড়ি থেকেই জুতা খুলে উঠতে হয়। কেননা জুতা পায়ে কিছুদূর সিড়ি বেয়ে উঠে জুতা রাখার নিয়ম নেই। এমনটি কেউ করলে সেটা অবশ্যই ভাষা শহীদের প্রতি অবমাননা করার শামিল। তবে যে ঘটনাটি ঘটেছে তাদের জ্ঞানের অজ্ঞতা থেকেও ঘটতে পারে।
মতামত দিন