নিজস্ব প্রতিবোদকঃ
নির্বাচন কমিশন (ইসি) আবারও ভোট স্থগিতের দিকে যাচ্ছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে ইসি সূত্রে আভাস পাওয়া গেছে।
১১ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় লক্ষ্মীপুর-২ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন, প্রথম ধাপের ৩৭১ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) এবং ষষ্ঠ ধাপের ১১টি পৌরসভাসহ আরও কয়েকটি নির্বাচন স্থগিত হতে পারে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার কমিশন সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
তবে আজ বুধবার অনুষ্ঠেয় চারটি পৌরসভার নির্বাচন হবে। গত বছর করোনা সংক্রমণের কারণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ বেশ কয়েকটি নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার যুগান্তরকে বলেন, ৩১ মার্চের সব ভোট হবে। এর পরের নির্বাচনগুলোর বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। সোমবার করোনা সংক্রমণ বাড়ায় সরকারের পক্ষ থেকে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়। এর পরপরই সিইসির নেতৃত্বে কমিশনের এক অনির্ধারিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছানোয় ১৮ দফা নির্দেশনা নিয়ে সেখানে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। বৈঠক সূত্র জানায়, আজকের (৩১ মার্চ) ভোট স্থগিত নিয়েও আলোচনা হয়।
তবে ব্যালট পেপার ছাপাসহ অন্য সব কার্যক্রম ইতোমধ্যে শেষ হওয়ায় এবং নির্বাচনের সংখ্যা কম হওয়ায় ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। করোনা সংক্রমণ শুরুর পর গত বছর সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার মধ্যে পরবর্তী ৯০ দিনে করেছে ইসি। স্থানীয় সরকারের নির্বাচনও স্থগিত করা হয়। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় নভেম্বর থেকে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন শুরু হয়।
চার পৌরসভায় ছুটি : আজ চারটি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ করা হবে। এগুলো হলো- যশোর ও ঠাকুরগাঁও সদর এবং মাদারীপুরের কালকিনি ও চাঁপাইনাবগঞ্জের শিবগঞ্জ। এই চার পৌরসভার দুটি সাধারণ ও বাকি দুটি ওয়ার্ডে উপনির্বাচন হবে।
আজ যশোরে ইভিএমে ভোট : যশোর ব্যুরো জানায়, আজ যশোর সদর পৌরসভা নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করা হবে। প্রতীক বরাদ্দের পর বিএনপি প্রার্থী মারুফুল ইসলাম সরে দাঁড়ালেও ব্যালটে ধানের শীষের প্রতীক থাকছে। এ হিসাবে মেয়র পদে তিন প্রার্থী লড়ছেন। তবে অনেকটা ফাঁকা মাঠেই গোল দেওয়ার অবস্থা নৌকার প্রার্থী হায়দার গণি খান পলাশের। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে মাঠে আছেন ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখার প্রতীকের মোহাম্মদ আলী। মেয়র পদের চেয়ে ৯টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। ভোটকেন্দ্রে আধিপত্য বিস্তার ঘিরে সহিংসতার শঙ্কা রয়েছে।
মতামত দিন