• ২০২৫ নভেম্বর ২৫, মঙ্গলবার, ১৪৩২ অগ্রহায়ণ ১০
  • সর্বশেষ আপডেট : ০১:১১ পূর্বাহ্ন
English
পরিচালনাপর্ষদ
আমাদের সাথে থাকুন আপনি ও ... www.timebanglanews.com

ভূমিকম্পের পূর্বপ্রস্তুতি ও পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে নগরভবনে জরুরি সভা

  • প্রকাশিত ০১:১১ পূর্বাহ্ন মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৫
ভূমিকম্পের পূর্বপ্রস্তুতি ও পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে নগরভবনে জরুরি সভা
File
শহীদুর রহমান জুয়েল সিলেট জেলা প্রতিনিধি

ভূমিকম্পের পূর্বপ্রস্তুতি ও পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে নগরভবনে জরুরি সভা



ভূমিকম্পের পূর্বপ্রস্তুতি ও পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় বক্তারা বলেছেন, যে কোনো সময় দুর্যোগ আসতে পারে। তাই ভূমিকম্প পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি কমাতে আগে থেকেই সব উদ্ধারযন্ত্রপাতি তৈরি রাখতে হবে। কোন সংস্থার কাছে কি ধরনের যন্ত্রপাতি আছে তার ডাটবেজ তৈরি করতে হবে। দুর্যোগ এলেই যাতে সবকিছু সহজেই পাওয়া যায় সেজন্য প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রপাতি প্রস্তুত রাখতে হবে। পুরোনো স্বেচ্ছাসেবকদের আবার প্রশিক্ষণ দিতে হবে। নতুন নতুন স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করতে হবে।


আজ সোমবার বিকেলে নগর ভবন সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ও সিলেটের বিভাগীয় কমিমনার খান মো. রেজা-উন-নবীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. জহির বিন আলম, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম প্রমুখ।


সভায় বক্তারা বলেন, যেহেতু ভূমিকম্প ঠেকানোর উপায় নেই, তাই ক্ষয়ক্ষতি কমাতে নগরবাসীকে সচেতন করতে হবে। উদ্ধারকাজে সম্পৃক্ত সব সংস্থার সক্ষমতা বাড়াতে হবে। প্রয়োজনীয় সবকিছু প্রস্তুত রাখতে হবে।


সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ও সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী বলেন, নগরবাসীকে নিরাপদ রাখতে ইতোমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত সব ভবন ভেঙ্গে ফেলা হবে। আরও কোনো ঝুঁকিপূর্ণ ভবন আছে কিনা তা যাচাই করতে নতুন করে এসেসমেন্ট করা হবে। উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে সেগুলোকে ভাঙ্গা হবে। জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি উদ্ধার কাজের জন্য আরও যন্ত্রপাতি ক্রয়ের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে তুলে ধরা হবে। নিজেদের নিরাপদ রাখতে বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণ করতে তিনি নগরবাসীকে অনুরোধ জানান।      


শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জহির বিন আলম ভূমিকম্প হলে যাতে মানুষ নিরাপদ স্থানে যেতে পারে সেজন্য নিরাপদ বৃহৎ খালি জায়গা প্রস্তুত রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি উপস্থিত সবাইকে আশার বাণী শুনিয়ে বলেন, গত একযুগে সিলেট সিটি কর্পোরেশন একটিও দুর্বল বিল্ডিং অনুমোদন দেয়নি। বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণ করলে ঝুঁকি অনেকাংশেই কমে যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।


সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষমতা আরও বাড়াতে আমরা সব দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর চেষ্টা করছি। আমাদের অনেক যন্ত্রপাতি রয়েছে সেগুলোতে প্রস্তুত রাখছি, যাতে সময়মতো হাতের কাছে পাওয়া যায়। দুর্যোগকবলিতদের উদ্ধারের জন্য আমরা প্রশিক্ষণ দিয়ে আরও স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করব। 


সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম বলেন, দুর্যোগের সময় প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, স্বেচ্ছাসেবী পাওয়া যায় না। তাই এ ব্যাপারে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। পুরোনো স্বেচ্ছাসেকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি নতুন নতুন স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করতে হবে। যন্ত্রপাতির ডাটাবেজ তৈরি করতে হবে, যাতে যথাসময়ে সেগুলোকে কাজে লাগানো যায়। 

 

সভায় সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, জালালাবাদ গ্যাস, আনসার ভিডিপি, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা, ইসলামিক রিলিফ, বিএনসিসি, স্কাউট, গার্লস গাইড প্রতিনিধি সহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

সর্বশেষ