বিবিসি তাদের এক বিশেষ প্রতিবেদনে বলেছেন, দেশটিতে আদিবাসীদের একটি সংগঠন কাউয়েসেস ফার্স্ট নেশন এই কবরগুলো খুঁজে পেয়েছে এবং বলেছে "কানাডায় এত বিশাল সংখ্যক অচিহ্ণিত কবর পাওয়ার এই ঘটনা বিরল"।
একইধরনের একটি বোর্ডিং স্কুলের প্রাঙ্গণে কয়েক সপ্তাহ আগে ২১৫টি মৃত শিশুর হাড়গোড় খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল।
"এটি গণ কবরস্থান নয়। এগুলো সব অচিহ্ণিত কবর," বলেছেন সংস্থাটির প্রধান ক্যাডমাস ডেলর্মে।
ওই এলাকায় মারিভেল ইন্ডিয়ান রেসিডেনশিয়াল স্কুল নামের আবাসিক শিক্ষায়তনটি ১৮৯৯ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত পরিচালনা করত রোমান ক্যাথলিক গির্জা।
সাসকাটচেওয়ানের এই এলাকাতেই এখন কাউয়েসেস ফার্স্ট নেশন সংস্থার দপ্তর। তবে যে ২১৫টি শিশুর দেহাবশেষ সেখানে খুঁজে পাওয়া গেছে তারা সবাই সেই স্কুলের শিক্ষার্থী ছিল কিনা - তা এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি।
কানাডায় ১৩০টির বেশি বাধ্যতামূলক আবাসিক স্কুল আছে, যেগুলোর অর্থায়ন করে দেশটির সরকার।
দেশটির আদিবাসী সম্প্রদায়ের শিশুদের সভ্য করে তুলে কানাডার মূলধারার সাথে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে উনবিংশ এবং বিংশ শতাব্দী ধরে এই স্কুলগুলো পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয় ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের ওপর।
এসব স্কুলে পড়ালেখা করার সময় মারা যায় আনুমানিক ছয় হাজার শিশু- মূলত স্কুলের ভেতর খুবই অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে বাস করার কারণে। শিক্ষার্থীদের প্রায়শই রাখা হতো এমন সব ভবনে যা খুবই নিম্নমানের, সেখানে ঘর গরম রাখার তেমন ব্যবস্থা ছিল না এবং ছিল না শৌচকাজের জন্যও ব্যবস্থা।
মতামত দিন